পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করমচা ফলের জীবন

বিষণ্ণ রোদের ভিতর চুপচাপ দাঁড়াইয়া আছে কিছু করমচা ফল। সিঁড়ির গোড়ার দিক থিকা মানুষের পায়ের আওয়াজের শব্দ হলে তারা সিঁড়িঘরের দরজার দিকে তাকায়...   মানুষের আওয়াজ কিংবা মানুষের আওয়াজ নয় ভেবে করমচা ফলগুলো আড়মোড়া ভাঙে। তিনজন পুরুষ, একজন নারী, একটা হুইল চেয়ার। একজন সিঁড়িঘরের দরজাটা খোলে ধরে রাখে। একজন হুইল চেয়ারটা ঠেলে ঠেলে করমচা গাছের নিচে এনে দাঁড় করায়। একটা আট-নয় বছরের বাচ্চা, ডান পা-টা জিরাফের গলার মতো হুইল চেয়ারের সামনে লম্বা হয়ে ঝুলে আছে। সম্ভবত রেলে কাটা। ঘাও ঘাও পায়ের উপর শ্যাওলার মতো... ডাক্টার ভদ্রলোক গজ-কাঁচি নিয়া রেডি হয় বাচ্চাটা কান্নাকাটি শুরু করে। “আমি ড্রেসিং করতাম না, আমি ড্রেসিং করতাম না...” একজন ধমক দেয়। “চুপচাপ ড্রেসিং করতে দে। নইলে যেখান থেকে আনছি অইখানে নিয়া ফেলাইয়া দিইয়া আমু। কান্না বন্ধ...” বাচ্চাটা ফোঁফাতে ফোঁফাতে কয় “ আমারে স্টেশনে ফেলাইয়া দিয়া আহেন। আমি ড্রেসিং করতাম না, দরকার হইলে পাও কাইট্যা ফেলামু, তাও আমি ড্রেসিং করতাম না...” মানুষগুলো নিজেরা নিজেরা কথাবার্তা বলে। কী একটা অবস্থা! পায়ের উপর দিয়া ট্রেইন ...